ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৯:৪৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ সাইফুল হত্যার প্রতিবাদ ও চিন্ময়ের মুক্তি দাবি হাসিনার দুই বছর পর ওয়ানডে দলে দিলারা আকতার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা

বিয়ে না করায় যুবককে এসিড নিক্ষেপ, মা-মেয়ের যাবজ্জীবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ১ জুন ২০২২ বুধবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে না করায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ি গ্রামের নুরুল আবসার নামে এক যুবকের শরীরে এসিড নিক্ষেপের দায়ে মা-মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। 

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালত এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই গ্রামের মুস্তফা বেগম ও তার মা মাসুমা খাতুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মা-মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, নারী বিবেচনায় দুইজনকে মৃত্যুদ- না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।  

আদালত সূত্র জানায়, নুরুল আবসারের সঙ্গে মোস্তফা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে আবসারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মোস্তফার পরিবার। কিন্তু এই প্রস্তাবে আবসারের মা-বাবা রাজি হননি। বিয়ে না দিয়ে আবসারকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ১৯৯৫ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার হারুয়ালছড়ি এলাকায় নুরুল আবসারকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন আসামিরা। এতে তার চোখ, মুখ, বুক ঝলসে যায়। এ ঘটনায় নুরুল আবসারের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন। ঘটনার পরপরই মা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে মা-মেয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে ৫ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ১৯৯৯ সালের ৮ ডিসেম্বর মা-মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দিয়েছে।